ধাক্কা, একটি ঝাঁকুনি কিংবা ধেয়ে আসা সময়ের কাছে কান্না…


সেদিন এক ক্যাফেতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। পাশেই দুইটা স্কুল ড্রেস পরা ছোট্ট ছেলে কম্পিউটারে গেমস খেলছিল। কী আনন্দ তাদের! কী সিরিয়াসনেস! এই গাড়ি জোরে চালা, ঐ পুলিশ আসতেছে, এই এই গুলি কর গুলি কর……! একজন তো টেনশনে একবার সিট থেকে উঠে পড়ে আবার বসে। খুব মজা লাগছিল আর ভাবছিলাম কী সরলতা এই বাচ্চাগুলোর মনের। পৃথিবীর কোন পাপ পঙ্কিলতা এই বাচ্চাগুলোকে এখনো স্পর্শ করতে পারেনি। কিন্তু এই বাচ্চাগুলো একটু একটু করে বড় হবে! এই নোংরা সমাজ, নোংরা মানুষের ভিড়ে এরা বাঁচতে শিখার আগে মরতে শিখবে। কয়জন জানতে পারবে জীবন আসলে কী? কয়জন বুঝতে শিখবে, খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার নাম জীবন নয়? কয়জন মনে লালন করবে আকাশের ওপারে অনন্ত জান্নাতের স্বপ্ন? দুর্লভ কিছু সৌভাগ্যবান ছাড়া এদের প্রায় সবাই পথভ্রষ্টতা আর ভুল জীবনদর্শনের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে অনেক দূরে হারিয়ে যাবে! অনেক অনেক দূরে……

৩ সংখ্যাটি বহুল ব্যবহৃত একটি সংখ্যা। এই দুনিয়াতেও মানুষের অবস্থানকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম পার্টটা হচ্ছে starting point—জন্ম! দ্বিতীয় পার্টটা হচ্ছে আমি আপনি এখন যে অবস্থানে আছি—জীবনকাল আর তৃতীয় পার্টটা হচ্ছে ending point—মৃত্যু! হাদিস থেকেই একথা প্রমাণিত যে প্রতিটি মানুষ মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করে, পরে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর পিতামাতা তাকে ভিন্ন মতাদর্শে ধাবিত করে। এই দুনিয়ায় অমুসলিম হিসেবে জীবনযাপন করা একজন মানুষের কথা বাদই দিলাম। একজন মুসলিমের কথা বিবেচনা করি। সে একটু একটু বড় হয় আর ছুটতে থাকে। ক্যারিয়ার, স্ট্যাটাস, জব, গার্লফ্রেন্ড, বন্ধু আড্ডা গান…… প্রতি কদমে কদমে কুফরি মোটিভেশন, ইসলামশূণ্যতা! But what is the gain at the end of the day? What? প্রতিটা দিন শেষে নিজেকে what and why দিয়ে প্রশ্ন করুন তো? আপনি, আমি আমাদের মধ্যে যদি ন্যূনতম ইসলামবোধ থেকে থাকে তাহলে আমাদের কাজের what and why এর উত্তর দিতে আমাদের লজ্জায় মাথা কাটা যাবে, মুখ দিয়ে কোন কথা বেরোবে না! কী justification খুঁজব ইসলামহীন যে কাজগুলো প্রতিদিন করছি তার?? But ….. আল্লাহ কুরআনে ‘অবকাশ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ বলেছেন তিনি গাফেল, পথভ্রষ্ট, ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে দুনিয়ার পেছনে ছুটা মানুষগুলোকে অবকাশ দিচ্ছেন। মৃত্যু পর্যন্ত…… কেয়ামত পর্যন্ত! একদিন ফয়সালা হবে, একদিন ভবলীলা সাঙ্গ হবে!


আমার বড় ভাই। বছর তিনেক আগে তার পায়ে খুবই মারাত্মক একটা দুর্ঘটনা ঘটে। সে আবার হাঁটতে পারবে সে আশা ক্ষীণ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ সে এখন হাঁটে, চাকরি করে। সে যখন হাসপাতালে, আমার মা দিনরাত কান্নাকাটি করতো। আমার ভাইয়ের যেদিন দুর্ঘটনা ঘটে তার পরদিন সকালে আমার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা ছিল। পায়ের উপর মালবাহী ট্রলি গিয়ে হাড্ডিগুড্ডি সব বেরিয়ে গেছে সেই অবস্থায়ও আমার ভাই চিৎকার করছিল, “আমার বাসায় যেন না জানে। কালকে আমার ভাইয়ের পরীক্ষা। আমার বাসায় যেন না জানে……।” আমি আমার নিজের জন্য কখনো আল্লাহর কাছে কেঁদেছি বলে মনে পরেনা কিন্তু আমার ভাইয়ের এই কথাগুলো মনে পড়লে হাউমাউ করে কাঁদতাম। সে অনেকদিন হাসপাতালে ছিল, আমি সারাদিন বসে থাকতাম। হাসপাতালের বারান্দায়, অপারেশন থিয়েটারের সামনে। আল্লাহ মাফ করুন, কলেজে পড়ার সময় নামাজ তো পড়তামই না, মাঝে মাঝে জুমার নামাজও বাদ যেত। নামাজ শুরু করলাম, নফল রোজা রাখতাম। কত কাঁদতাম আল্লাহর কাছে, আল্লাহ যেন আমার ভাইকে সুস্থ করে দেয়। তারপর কয়েকটা বছর কেটে গেল……

আমাদের বাসায় এখন টেবিল ভর্তি বই। কুরআন, হাদিস, সিরা, তাফসীর, ফিকাহ……! আমার কেনা নয়, আমার ভাইয়ের। তার গালে লম্বা দাড়ি, সব প্যান্ট কেটে টাখনুর উপর করা। আলহামদুলিল্লাহ! একটি ধাক্কা, একটি ঝাঁকুনি। আমার ভাইয়ের জীবনটা পাল্টে গেল। আমি বলি ধাক্কাটা গাড়ির ছিলনা, ছিল মহান আল্লাহর রহমতের। ঝাঁকুনিটা পায়ে ছিল না, ছিল অন্তরে। আল্লাহ কিছু মানুষের কাছে বিপদকে রহমত হিসেবে পাঠান।

অধঃপতনের, পথভ্রষ্টতার, দুনিয়ালোভী জীবনের মোড় ঘুরাতে কিছু মানুষের একটা ধাক্কার দরকার পড়ে। দরকার পড়ে অন্তর কাঁপিয়ে দেওয়া কোন ঝাঁকুনির!!

আমাদের চারপাশে অনেক বাবা মায়েদের খোঁজ পাবেন যারা তাদের সন্তানের কোন ভয়ংকর অসুখ, মৃত্যুর পর আল্লাহর দ্বীনের পথে চলা শুরু করে। সন্তান যেমন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আশীর্বাদস্বরূপ ঠিক তেমনি সন্তানবিয়োগও কিছু মানুষের জন্য রহমত হয়ে আসে। সন্তান হারানোর বিনিময়ে মহান আল্লাহর সিরাত্বাল মুস্তাকিমের সন্ধান পাওয়া অনেক সৌভাগ্যের নয় কি? আমি অনেক দ্বীনি পিতামাতাকে চিনি যাদের সন্তান হেদায়াতপ্রাপ্ত হয়নি। বাবা মসজিদের ইমাম, মাদরাসার শিক্ষক কিন্তু ছেলে মেয়ে বাবার দ্বীনি শিক্ষার কিছুই পায়নি! এমনও দেখেছি বাবা মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছে আর ছেলে পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলছে। এই অন্তরগুলো বক্রতা অবলম্বন করেছে। এদের কিসের অভাব? এদের কাছে কি সত্যের বাণী, হেদায়াতের বাণী পৌঁছাইনি? পৌঁছেছে! এদের অন্তর corrupted হয়ে গেছে। ধাক্কা দরকার। জোরেশোরে একটা ঝাঁকুনি দরকার। আল্লাহ রহম করে এদের অন্তরে ধাক্কাটা দিলে এরা বেঁচে যাবে। আর নয়ত হাহাকার ছাড়া কিছুই নেই।


আমার এক চাচাত ভাইয়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। দেখলাম উনি নামাজ পড়ছেন। জুমার দিন ছাড়া উনি কোনদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন বলে জানিনা কিন্তু এখন……!! মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে খেয়াল করে দেখবেন প্রথম কাতারে কিছু নিয়মিত মুখ দেখা যায়। এরা নামাজ বাদ দেয়না, সারাদিন এবাদত-বন্দেগীতে থাকে। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে কিন্তু খোঁজ নিলে দেখবেন, এদের বেশিরভাগই একসময় নামাজ পড়তেন না। যৌবনের টগবগে সময় এরা আর দশজনের মত করেই কাটিয়েছেন। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসে এদের অন্তর কেঁপেছে! মৃত্যুভয় এক বিশাল ঝাঁকুনি দিয়ে গেছে এদের অন্তরে।

এই দৃশ্যগুলো খুবই সাধারণ। স্ট্রোক করল, ডাক্তার বলল আরেকটা স্ট্রোক করলে ঘটনা ঘটে যেতে পারে! তার পরদিন থেকে স্ট্রোককারী নামাজ পড়া শুরু করে দিল। আল্লাহ বাঁচাও, আল্লাহ মাফ কর। খুবই সাধারণ একটা দৃশ্য এটা মানুষের! আল্লাহ সে কথাই বলেছেন সুরা ইউনুসে।

“আর যখন মানুষ কষ্টের সম্মুখীন হয়, শুয়ে বসে, দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। তারপর আমি যখন তা থেকে মুক্ত করে দেই, সে কষ্ট যখন চলে যায় তখন মনে হয় কখনো কোন কষ্টেরই সম্মুখীন হয়ে যেন আমাকে ডাকেইনি। এমনিভাবে মনঃপুত হয়েছে নির্ভয় লোকদের যা তারা করেছে।” [১০ঃ১২]

অতঃপর একটি ধাক্কা! আল্লাহর হেদায়াতের এই ধাক্কা অনেক বড় জিনিস। অন্তরের ঝাঁকুনি অনেক বড় এক হেদায়াত।

এধরনের পরিসংখ্যানের কথা খুব বেশি শুনা যাচ্ছে যে, পাশ্চাত্যের মানুষ ইসলামের প্রতি ঝুঁকছে। আলহামদুলিল্লাহ। এটা অনুমেয়ই ছিল। দুনিয়াকেন্দ্রিক, ভোগবাদী জীবনের স্বপ্ন লালন করা মানুষগুলো তাদেরই তৈরি করা দুনিয়ার স্বর্গে থেকে ক্লান্ত, অবসন্ন, শূণ্য হয়ে পড়ছে। একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা জীবনের কোন অর্থ খুঁজে পায়না। মোজ, মাস্তি, সেক্স, অ্যালকোহল, মূল্যবোধহীন, নৈতিকতাহীনতা, ব্যভিচার-অজাচার যেখানে নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, সে জীবনে বেশিদিন টিকে থাকা যায়না। এখানে সাময়িক একটা ভালো লাগা আছে কিন্তু এই ভালো লাগা আত্মাকে দেউলিয়া বানিয়ে দেয়। আর তাই জীবন শেষে এরা জীবনের কোন what and why এর উত্তর খুঁজে পায়না। জীবনের কোন অর্থ খুঁজে পায়না। আর তখনি মনে আসে ধাক্কা, অন্তরে ঝাঁকুনি আসে। অনেকেরই চোখের রঙিন পর্দা খসে পড়ে। সত্য উন্মোচিত হয়ে পড়ে।

বর্তমান মুসলিমদের দাঈদের দেখলেই ধাক্কার ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। ডঃ আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স, আব্দুর রহমান গ্রিন—সবার সত্য গ্রহণ এবং এই সত্য ইসলামেরই বাণী প্রচারের পেছনে ছিল সেই ধাক্কা, ঝাঁকুনি!

আমার জীবনে অনেকগুলো ধাক্কা ছিল। ঝাঁকুনি ছিল। ফেসবুকের আর দশজন হাই হ্যালো টাইপ ফেসবুকারের বদলে সবাই আমাকে এখন ইসলামপন্থী হিসেবে জানে। আমার লেখা পড়ে অনেকেই নাকি ইসলামের পথে এসেছে, কেউ শপথ করেছে সে হিজাব করবে, কেউ নাকি তাওবা করে ভাল হয়ে গেছে, কেউ নাকি গার্লফ্রেন্ড ছেড়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এই জীবনের পেছনে আল্লাহর রহমত ছিল। এই দূষিত চিন্তা purify করার পেছনে অনেকগুলো ধাক্কা ছিল, ঝাঁকুনি ছিল।

একটা সময় কয়দিন পর পর আবু গারিব কারাগার থেকে লেখা ফাতেমার চিঠি পড়তাম। ফেসবুকের ইনবক্সে এই চিঠিটা রাখতাম যাতে কোথাও সুযোগ পেলেই পরিচিতদের পড়তে দিতে পারি। আমার সবসময়ই মনে হয় ফাতেমা, আফিয়া সিদ্দিকিদের জন্য মুসলিম উম্মাহ কিছুই করতে পারেনি কিন্তু তাদের লেখা চিঠি আমার মত হাজারো মুসলিম যুবককে তাদের জীবন নিয়ে, দ্বীন নিয়ে নতুন করে ভাবিয়েছে। অন্তরে ঝাঁকুনি দিয়ে গেছে।

আমি জানি যারা আজ আধুনিকতার নামে, স্মার্ট হওয়ার নামে, সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর নামে জাহেল জীবনের ভীত রচনা করছে, একদিন তাদের জীবন তাদের কাছেই পানসে মনে হবে। আল্লাহ কুরআনেই বলেছেন, মানুষকে খুব দুর্বল করে তৈরি করা হয়েছে। পথভ্রষ্টতার উপর, গোমরাহির উপর মানুষ বেশিদিন ঠিকে থাকতে পারেনা। সারাদিন গান বাজনা, আজেবাজে কাজ, নারীশরীরের পেছনে ছোটা আধুনিক যুবক কিংবা সুদ, ঘুষ, ব্যভিচার, অশ্লীলতার পেছনে ছুটে চলা আজকের সমাজের সফল মানুষগুলো একদিন থমকে দাঁড়াবে। ইনশাআল্লাহ, সুখের এই জীবন একদিন শূণ্য মনে হবে। আল্লাহ চাইলে একদিন হয়ত তাদের মনেও ধাক্কা লাগবে, একদিন হয়ত ভয়ে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠবে।

শরীর দেখিয়ে পুরুষের চোখের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করা ক্লাসের আপু একদিন হয়ত নিজের নোংরা শরীরের দুর্গন্ধ টের পাবে। টগবগে তারুণ্যকে যারা তথাকথিত আধুনিকতার নামে নষ্ট করছে, ইসলামকে যারা সেকেলে মনে করছে, সবাইকেই একদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। সেদিন প্রশ্ন করা হবে, “যৌবনের শক্তি সামর্থ কোন কাজে ব্যয় করেছ?” এক পাও সামনে এগোতে দেওয়া হবেনা এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে। এই তারুণ্যের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা ধাক্কার অপেক্ষায় থাকলাম।

আল্লাহ যাদেরকে এই দুনিয়াতেই কোন ধাক্কা দেননি, কোন ঝাঁকুনি দেননি তারা জানে না তারা কত দুর্ভাগা। আল্লাহ তা’য়ালা যখন কাউকে এই দুনিয়াতেই বিপদে পতিত করেন তখন আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করুন এই জন্য যে আল্লাহ আপনার বিপদটাকে আখিরাতের জন্য ঝুলিয়ে রাখেননি। খুব কষ্টের দিনগুলোতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করুন এই জন্য যে আল্লাহ হয়তো আপনার পাপের শাস্তি এই পৃথিবীতেই আপনাকে দিয়ে দিয়েছেন আর আখিরাতে আপনাকে মুক্ত করেছেন। আর যারা এই দুনিয়ার জীবনে সুখ আর সুখের মধ্যে পার করে, কোন বিপদ, কষ্ট যাদের স্পর্শ করেনা আল্লাহ ভাল জানেন আখিরাতে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। যারা কোনদিন ধাক্কা খায়নি, ঝাঁকুনি খায়নি পৃথিবী ছাড়ার সময় হলে তারা কি ফেলে আসা জীবনের জন্য আফসোস করবে না?? কত তীব্র হবে সেই আফসোস??

আল্লাহ কাকে কীভাবে হেদায়াত দিবেন আল্লাহই ভাল জানেন। হয়ত কোন দুর্বল সময়ে দাঁড়িয়ে মনের ভেতর প্রশ্ন জাগবে। হয়ত বিগত দিনের কাজের অর্থহীনতা খুঁজে পাবে। হয়ত ফেলে আসা সময়ের জন্য বুকটা কেঁপে উঠবে। একদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর ভয়ে চোখের পানি ঝরবে। এভাবে হয়ত একদিন আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের ধাক্কা আসবে। হয়ত হেদায়াত আসবে। আর যদি এই দুনিয়াতে সেই ধাক্কা আর ঝাঁকুনি না আসে তাহলে আসল ধাক্কাটা একদিন অনেক কঠিন হবে,

“এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কী কাজে আসবে? সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম! সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না। এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না।” [৮৯ঃ২৩-২৬]

পৃথিবীর সব মানুষকে আল্লাহ এপারেই সত্য অনুধাবনের তৌফিক দান করুন। শক্ত, কঠোর হয়ে যাওয়া অন্তরের জন্য আল্লাহ হেদায়েতের ধাক্কা রহমত হিসেবে পাঠান। ঝাঁকুনিতে অন্তরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নিন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর দ্বীনের পথে অটল থেকে ঈমানের সাক্ষ্য দিতে দিতে মৃত্যুবরণ করার তৌফিক দান করুন। আমীন ইয়া রব আমীন……


মূলপ্রকাশঃ January 7, 2014